গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম খেলাধুলা কি নিরাপদ
গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম খেলাধুলা কি নিরাপদ
গবেষনায় দেখা গেছে যে ব্যায়ামের সময় যে শারীরিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় তা শিশুর ক্ষতি করে না।গর্ভবস্থার সময় বৃদ্ধির সাথে সাথে ঝুকিপূর্ন কাজ থেকে বিরত থাকা উচিৎ এবং যেসব কাজে পেটের ওপর চাপ পড়তে পারে এমন কাজ থেকেও বিরত থাকুন এবং বলেন যে মাটি থেকে ৬০০০ ফিট দূরত্বের বা তার বেশি দূরত্বের কাজে কিছু ঝুঁকি থাকে কারন এত আপনার ও আপনার শিশুর জন্য অক্সিজেনের সল্পতা তৈরি হয়।
নিচে এমন কিছু কাজের কথা দেয়া হলো যা কিনা নিঃসন্দেহে আপনার শিশুর জন্য আপনার গর্ভবস্থায় আপনার জন্য ক্ষতিকরঃ-
১. সাইকেল চালানোঃ নতুন মায়েদের জন্য সাইধেকল চালানো ঠিক নয়, যখন আপনি মধ্যকর্ষন থেকে সরে আসেন তা আপনার ভারসাম্যর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে যা কিনা বিদজনক।
২. আপনার সংস্পর্শে আসে এমন খেলাধূলাঃ ফুটবল, ক্রিকেট এবং হকি আপনার বল থেকে ব্যথা পাবার ঝুঁকি, অন্য খেলোয়াড়ের সাথে ধাক্কা অথবা পড়ে যাবার মতো ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৩. জিমনাস্টিকঃ একই রকম পড়ে যাবার ও পেটের ওপর চাপ পড়বার ঝুঁকি বাড়ায়।
৪. ঘোড়ার পিঠে চড়াঃ আপনি যদি ঘোড়ার পিঠে চড়ায় পারদর্শী হয়েও থাকেন তাও পড়ে যাবার ঝুঁকি কেন নেবেন?
৫. খেলাধুলার পর বাথ ট্যাব এ বসাঃ গরম পানির টাব এ বসে থাকলে সেটা আপনার বাড়ন্ত শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে কারন মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রার সাথে জন্মের ত্রুটির সম্পর্ক রয়েছে।
৬. দৌড়ানোঃ আপনি গর্ভবততী হবার আগে আপনি যদি না দৌড়ে থাকেন, তবে এখন সেটা করবার সময় নয়। আপনার দ্বীতিয় মাস থেকে, যখন কিনা আপনার পড়ে যাবার সম্ভবনাটা বেড়ে যায়, তখন আপনাকে সতর্ক হতে হবে। অন্য সব ব্যায়ামের ক্ষেত্রে যা করা উচিত,দৌড়ানোর ব্যাপারেও তাই। শরীরের তাপমাত্রা বেশি বেড়ে যেতে দেবেন না এবং ঘামের কারনে যে পানিশূন্যতা তৈরি হয় তা পুরন করতে যথেষ্ট পরিমান পানি পান করুন।
৭. সাতার কাটাঃ ত্রটি থেকে পরিপূর্নভাবে বিরত থাকুন, পানিতে ভেসে থাকার সময়ে আপনার রক্তে বাতাসের বুদবুদ তৈরি হতে পারে যা কিনা আপনার ও আপনার শিশুর জন্য ভীষণ বিপদজনক হতে পারে।
৮. টেনিসঃ গর্ভবতী হবার আগে যদি আপনি টেনিস খেলে থাকেন তাহলে এই সময়ে আপনি ধীরে ধীরে খেলতে পারেন আপনি হয়তো ভারসাম্য ও কখন কখন থামতে হতে পারে তা নিয়ে সমস্যায় পরতে পারেন, তাই সতর্ক হয়ে খেলুন। বেশীর ভাগ মহিলা তাদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় মাসের পরে খেলতে অসুবিধা বোধ করেন তাদের স্ফীত উদরের কারনে।
যদি নিচের উপসর্গগুলো দেখা দেয় তবে সাথে সাথে ব্যায়াম বন্ধ করুন ও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিনঃ
৩. যোনি অঞ্চল থেকে রক্তক্ষরন
৪. শ্বাসপ্রস্বাসের সমস্যা
৫. দুর্বল ও মাথা ঘুরলে
৬. মাথাব্যথা
৭. বুকে ব্যথা
৮. মাংসপেশীর দুর্বলতা
৯. পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা বা ফুলে যাওয়া (রক্ত জমাট বাধলে এমনটা হতে পারে )
১০. অপ্রাপ্তকালীন প্রসব
১১. ভ্রুনের কম নড়াচড়া হলে।
