babu's sleeping guide

বাবুর ঘুমের গাইডঃ


সময় তাদের মস্তিষ্ক ও শরীর অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে, কিন্তু শুধু রাতের ঘুমই যথেষ্ট নয়। নিয়মিত দিনে ভাঙা ভাঙা ঘুম ও তাদের ঘুমের চাহিদা পূরণ করে।

আপনার সর্বোচ্চ চেষ্টাটি করুন শিশুকে দিনে ভাঙা ঘুম ঘুমাতে উৎসাহিত করতে। কিন্তু মনে রাখবেন তার মেজাজ এবং স্বাচ্ছন্দ্যই সাহায্য করবে সে কখন এবং কিভাবে ঘুমাবে। কিছু শিশু শুরু থেকেই দিনে লম্বা সময়ের জন্য ঘুমায় এবং এই ধারনাটিতেই অভ্যস্ত হয়ে যায়। অন্যরা দিনে ছোট ও ভাঙা ঘুম ঘুমায় অথবা কম ঘুম ঘুমায়।

আপনার নতুন শিশু দিনে ও রাতে একটানা দুথেকে চার ঘন্টা ঘুমোবে। এ সময় আপনার কোন ঘুমোনোর ধরন আশা করা ঠিক হবে না। শিশুকে তার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ঘুমোতে দিন।

যখন আপনার শিশুর বয়স ৬-৮ সপ্তাহ, তখন থেকেই সে তার ঘুম সমন্বয় করতে থাকবে- সে কমবার ঘুমাবে কিন্তু একবারে বেশি সময়ের জন্য ঘুমাবে না। সে হয়তো দিনে ২-৪ বার বা তার থেকেও বেশি বার ভাঙা ঘুম ঘুমাবে।

৩-৪ মাস বয়সে,পূর্বে অনুমান করা যায় এমন ঘুমের ধরন বেশির ভাগ শিশুরাই
  দিনে অনুসরন করে। এটি ভাল সময় দিনে ঘুমোনোর একটি সময়সূচি তৈরি করার।

৬ মাস বয়সে আপনার শিশু ২-৩ বার দিনে ঘুমাবেঃ সকালে, দুপুরের শুরুতেএবং দুপুরের শেষ ভাগে।

 ৯-১২ মাস বয়সে বেশির ভাগ শিশু দিনে ২ বার ঘুমায়, সকালে এবং দুপুরে এবং ১৮ মাস বয়সে বেশির ভাগ শিশু সকালের ঘুমটি ছেড়ে দেয় কিন্তু দুপুরের ঘুমটি ঘুমায়। তারা ঘুমের এই ধরন ৩-৪ বছর বয়স পর্যন্ত অনুসরণ করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কিভাবে আপনার শিশুর ঘুমের সময়সূচি তৈরি করবেন?

 

 

যখন আপনার শিশুর বয়স ৩-৪ মাস তখন থেকেই আপনি একটি ঘুমের সময়সূচি তৈরি করা শুরু করতে পারেন যা হবে তার স্বাভাবিক ঘুমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ-

আপনার শিশুর ঘুমের সঙ্কেতগুলো ভালভাবে লক্ষ্য করুন। সে কি মধ্য সকালে বা দুপুরে খাবার পর তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়? সে কি প্রায়ই
  দুপুরের পূর্বাহ্নে ঘুমিয়ে পড়ে? আপনি কি তার দৃষ্টিতে ও মনোযাগে কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন যখন সে দীর্ঘ বা অল্প সময়ের জন্য ঘুমায়?

আপনি হয়তো ১,২ সপ্তাহ আপনার শিশুর ঘুমের সঙ্কেত এবং দিনে ভাঙা ভাঙা ঘুমের তথ্য সংরক্ষণ করতে চাইবেন। এটি আপনার শিশুর পরবর্তী ঘুমের ধরন বুঝতে সাহায্য করবে।

উদাহারণস্বরূপ যদি আপনার শিশু প্রতিদিন ১০টা মধ্যে বদমেজাজী বা পাগলেটে হয়ে যায় এবং ঘুমাতে চায়, আপনি তাকে সাহায্য করতে পারেন।
  সে বেশি ক্লান্তিবোধ করার পূর্বেই তার ঘুমের ইঙ্গিত শুরু হওয়ার ১৫-২০ মিনিট আগে থেকেই তাকে খাবার খাওয়ান, কাপড় পরিবর্তন করে দিন এবং দোলনায় বা কোলে দোলান, আলো নিভিয়ে দিন এবং আস্তে কথা বলুন। এভাবে সে ঘুমের রাজ্যে পৌঁছে যাবে যখন সেই ক্লান্তিবোধ সে অনুভব করবে। একটি সময়সূচি অবলম্বন করুন।

ধারাবাহিকতা রক্ষা করাই হচ্ছে লক্ষ্যঃ আপনার শিশুর দিনের ঘুমের যথাসম্ভব একটি সময়সূচি অবলম্বন করুন। যদি আপনি আপনার শিশুকে একদিন ৩টায় ঘুম পাড়ান এবং পরের দিন দুপুরের খাবার পর ঘুম পাড়ান, তাহলে তার একটি নিয়মিত ঘুমের অভ্যাস গড়তে সমস্যা হবে।
এমন কাজগুলো থেকে বিরত থাকুন যা আপনার শিশুর ঘুমের সময়সূচির বিরূপ।